খালেদা জিয়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালাস
- By Jamini Roy --
- 27 November, 2024
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্ট থেকে খালাস পেয়েছেন। আজ (২৭ নভেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। এর আগে ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর, ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিল।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান, আদালত তাদের আবেদন মঞ্জুর করেছে। হাইকোর্টের বেঞ্চ জানিয়েছে যে, তারা আপিলের শুনানি সম্পূর্ণভাবে পড়েছেন এবং এভিডেন্স পর্যালোচনা করেছেন, যা আইনি ভিত্তিতে গ্রহণযোগ্য। এর ফলে খালেদা জিয়ার সাজা বাতিল হয়ে যায় এবং তিনি খালাস পান।
২০১৮ সালে আদালতের রায়ের পর, খালেদা জিয়া তার সাজা বাতিল করার জন্য হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর, হাইকোর্টে আবেদন করা হয়, যেখানে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেওয়া অর্থদণ্ডের আদেশ স্থগিত করা হয়েছিল। ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল, হাইকোর্ট বেঞ্চ আপিল গ্রহণ করে এবং এটি শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়।
এদিকে, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয় এবং ৬ আগস্ট খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
আদালতে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও কায়সার কামাল খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন। দুদক পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। আদালত খালেদা জিয়া এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আপিল মঞ্জুর করে তাদের সাজা বাতিল করে এবং তারা খালাস পান।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা ২০১0 সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় দায়ের হয়, যেখানে খালেদা জিয়া ও তার সহযোগীরা ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধভাবে লেনদেন করেছেন বলে অভিযোগ ছিল। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০১২ সালে এই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে এবং ২০১৪ সালে অভিযোগ গঠন করা হয়। ২০১৮ সালে এ মামলায় রায় ঘোষণা করা হয়, যা খালেদা জিয়া আপিল করেন এবং আজ তার খালাস ঘোষণা করা হলো।